Rumored Buzz on বন্যা

ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার উজানে আগামী ৭২ ঘন্টা ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

১৮৭১     রাজশাহী ও আরও কিছু জেলায় ব্যাপক বন্যা। শস্য, গবাদি পশু ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিষপত্রের ক্ষতি। রাজশাহীতে রেকর্ডকৃত এ যাবৎকালের সবচেয়ে ভয়ংকর বন্যা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় যেভাবে জমি আর টাকার ব্যবস্থা হয়েছিল১ জুলাই ২০২৪

১৯৮৭     জুলাই-আগস্ট মাসে বন্যায় বড় ধরনের বিপর্যয়। প্রায় ৫৭,৩০০ বর্গ কিমি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত (সমগ্র দেশের ৪০% এরও অধিক এলাকা)। এ ধরনের বন্যা ৩০-৭০ বছরে একবার ঘটে। দেশের ভিতরে এবং বাইরে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতই বন্যার প্রধান কারণ ছিল। ব্রহ্মপুত্রের পশ্চিমাঞ্চল, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র একীভূত হওয়ার নিচের অঞ্চল, খুলনার উল্টরাংশ এবং মেঘালয় পাহাড়ের সংলগ্ন অঞ্চল বন্যা কবলিত হয়।

সিরাজগঞ্জ ও এর উপরে অর্থাৎ গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ- এই এলাকায় তখন বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

আরও বলেন, "তারপর থেকে উন্নতি হতে শুরু করবে।"

এর মধ্যে শেরপুর, হবিগঞ্জ ও ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে উত্তরাঞ্চলের পাঁচটি জেলা।

বন্যা সাধারণত মৌসুমী ঋতুতে হয়ে থাকে (জুন থেকে সেপ্টেম্বর)। প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রায় ২৬,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা (১৮%) বন্যায় প্লাবিত হয়। অতীতে বন্যা বাংলাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বিশেষ করে ১৯৬৬, ১৯৮৮, ১৯৯৮, ২০০৪, ২০০৮, ২০১৭, ২০২২ ও ২০২৪ সালে। অর্থ্যাৎ দেখা যায়,২০০০ সালের পূর্ব পর্যন্ত প্রতি ১০ বছর পর বাংলাদেশে একটি বড় বন্যা হয়ে ছিল।[২]

উপরোল্লিখিত কাঠামোগত পদক্ষেপসমূহ ছাড়াও বন্যা প্রশমন প্রক্রিয়া ও ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের একটি বিকল্প কৌশল হিসেবে অ-কাঠামোগত পদক্ষেপের কথা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন। অ-কাঠামোগত পদক্ষেপ বলতে বন্যা মোকাবিলায় সামাজিক অভিযোজনকে বোঝানো হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে: (১) জনগণ যাতে দ্রুত নিরাপদ স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করতে পারে সে লক্ষ্যে বন্যার পানির উচ্চতা বৃদ্ধির যথেষ্ট সময় পূর্বে জনগণের কাছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে জোরদার করা; (২) নদনদীর উপচে পড়া পানি read more হ্রাসের লক্ষ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনা সাধন। এ উদ্দেশ্যে বনায়ন এবং পুনর্বনায়নের সমন্বিত কর্মসূচী গ্রহণ ও তার যথাযথ সংরক্ষণ যাতে পরিশোষণ প্রক্রিয়া বৃদ্ধির মাধ্যমে বন্যার পানির উচ্চতা হ্রাস ঘটতে পারে; (৩) ভূমি ব্যবহার পরিবর্তন এবং বিল্ডিং কোডের যথাযথ প্রয়োগ, শস্য উৎপাদন বহুমুখীকরণ তথা, বন্যা প্রতিরোধী বা বন্যা সহনক্ষম শস্য চিহ্নিতকরণ ও রোপণ করা এবং শস্য রোপণ মৌসুমের অভিযোজন; (৪) প্লাবনভূমিসমূহকে বিভিন্ন জোনে বিভক্ত করা এবং উন্নয়ন কর্মকান্ডকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ভূমি ব্যবহার জোন তৈরি করা। অ-কাঠামোগত পদক্ষেপসমূহ স্বল্প ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

জামায়াত নিষিদ্ধ, তারেক রহমানের ফেরা এবং সরকারের মেয়াদ নিয়ে যা ভাবছে দলগুলো

খোলা হবে কাপ্তাই বাঁধের গেট, ফেনীর তিন উপজেলা বিচ্ছিন্ন, ত্রিপুরার পরিস্থিতি

আজহার কমফোর্ট কমপ্লেক্স (৫ম তলা), গ-১৩০/এ প্রগতি সরণি, মধ্যবাড্ডা, ঢাকা-১২১২

১৯৬৯     চট্টগ্রাম জেলা বন্যার কবলে। শস্য এবং মূল্যবান সম্পদের ক্ষতি।

বাংলাদেশে বন্যা একটি পুনঃপুনঃ সংঘটিত ঘটনা। ১৭৮৭ থেকে ১৮৩০ পর্যন্ত সংঘটিত পুনরাবৃত্ত বন্যায় ব্রহ্মপুত্রের পুরানো গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে যায়। ১৯২২ সালে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে প্রলয়ংকরী এক বন্যার পর একটি বন্যা কমিটি গঠিত হয়। এছাড়াও উত্তরবঙ্গে ১৮৭০ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বন্যার উপরে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে। প্রাপ্ত পরিসংখ্যানের উপাত্ত বিশ্লেষণে মত প্রকাশ করা হয় যে, ব্যাপক বন্যা প্রতি সাত বছরে একবার এবং মহাপ্রলয়ংকরী বন্যা প্রতি ৩৩-৫০ বছরে একবার এই জনপদে হানা দিতে পারে।

1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15

Comments on “Rumored Buzz on বন্যা”

Leave a Reply

Gravatar